আলহামদুলিল্লাহ! আমি দুই বছর ধরে পেশাদারী ওষুধ ব্যবহার বন্ধ করেছি, আলহামদুলিল্লাহ। একসময়, ডাক্তারকে টাকা দিয়ে ওষুধ খেতে হত, ইনসুলিন নিতে হত, নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হত—এমনকি অনেক বড় রোগী হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আল্লাহর রহমতে, আজ আমি অনেক সুস্থ।
২০২২ সালে হার্টে ব্লক ধরা পড়েছিল। এনজিওগ্রাম করার পর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে রিং পড়াব না। আমি চেষ্টা করব, ওষুধের মাধ্যমে রিং ছাড়াই সুস্থ থাকা সম্ভব কিনা। ২০২৩ সালে, স্যারের ভিডিও দেখে আমি নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া শুরু করি। তার পর, প্রায় ২০ কেজি ওজন কমিয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ।
এখন, আমি শুধু একদিন পর পর প্রেসার কমানোর ওষুধ খাই। এর আগে, আমার প্রেসার সবসময় ১৪০ ছিল, কিন্তু এখন আমি প্রেসারের ওষুধ ছাড়াও সুস্থ আছি। ওষুধ কমিয়ে ফেলেছি দুই বছর হলো, আলহামদুলিল্লাহ।
এখন, আমি আমার বোনকেও সুস্থ করার জন্য সাহায্য করছি। বোনের জন্য আশা করছি, তার স্বাস্থ্যও আগের মতো ভাল হয়ে যাবে। এটাই আমার স্বপ্ন, এবং সবারই সুস্থ থাকার অধিকার রয়েছে। আমি আশা করি, সবার স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে, ইনশাআল্লাহ।
আমার বোনের ইনসুলিনের পরিমাণ নিয়ে আমি খুব চিন্তিত ছিলাম। তিনি ৩৮ ইউনিট ইনসুলিন নেন সকাল ও ২৮ ইউনিট রাতে। এত বেশি ইনসুলিন নেওয়ার পরেও তার সুগার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত যে, আমরা কীভাবে সুস্থ থাকা যায়, ইনসুলিনের মাত্রা কমানো যায় কি না, তা খুঁজে বের করা।
কিছু রোগীকে ইনসুলিন দেওয়া হয় অনুমানভিত্তিক, কিন্তু এতে আসলে রোগী সুস্থ হচ্ছে না। যাদের ইনসুলিনের অভাব, তাদের শরীর শুকিয়ে যায়, ওজন কমে যায়। আর যাদের ইনসুলিন বেশি, তাদের শরীরে ওজন বাড়ে। তাই, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, ইনসুলিনের সঠিক মাত্রা নির্ধারণ করা হোক।
আমার বোন ১২ বছর ধরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, এবং দীর্ঘ সময় ধরে ইনসুলিন ব্যবহার করছে। এই সময়টায় তার শরীরের স্বাস্থ্য আরও খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু, এখন থেকে যদি আমরা তার জীবনধারা পরিবর্তন করি এবং সঠিক চিকিৎসা শুরু করি, ইনশাআল্লাহ, দুই মাসের মধ্যে তার স্বাস্থ্য ঠিক হয়ে যাবে।
আমাদের উচিত, সঠিক উপায়ে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা পরিবর্তন করা। যেমন, দুধ খাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। পৃথিবীতে মানুষ ছাড়া আর কোন প্রাণী বড় হয়ে দুধ খায় না। দুধের মধ্যে থাকে ল্যাকটোজ ও ক্যাসিন, যা অনেকের জন্য অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। তাই, এখন আপাতত দুধ থেকে বিরত থাকাই ভালো। সুস্থ হওয়ার পর, মাঝে মাঝে দুধ খাওয়া যাবে।
আমরা যদি সবাই সুস্থ থাকতে চাই, তবে নিয়মিত পরামর্শ নেওয়া, ওষুধের ব্যবহার কমানো, এবং জীবনে স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনতে হবে।
"জে কে লাইফস্টাইল" - ওষুধমুক্ত সুস্থ জীবন।