Skip to Content

ঔষধের ফাঁদ; ২০ বছর ধরে কেন রোগ কমছে না

September 27, 2025 by
ঔষধের ফাঁদ; ২০ বছর ধরে কেন রোগ কমছে না
Manjur Mahmud Mizu
| No comments yet

২০ বছর ধরে ওষুধ খেলে চেহারার যে পরিবর্তন হয়, উনার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। গ্যাসের সমস্যা আছে – আছে মা, ঠিক আছে। আমি যতক্ষণ যা বললাম, সব ঠিক আছে তো? কিছুই মিথ্যা বলছি না। প্রথমে ওনার হাঁটতে কষ্ট হতো, পায়ে ব্যথা ছিল। তারপর পা ফুলে গেছে – পা ফোলার জায়গায় চাপ দিলে ভেতরে দেবে যায়। এই লক্ষণগুলো আমরা দুইটাই এখন দেখতে পাচ্ছি।

উনাকে দেখলে মনে হয় তিনি দুর্বল, মন খারাপ, আনন্দহীন, হতাশ। দেখলে বোঝা যায় তিনি অনেক চিন্তায় আছেন, ঘুমও ঠিকমতো হয় না। চেহারাটা মলিন হয়ে গেছে, যেসব দাগ আগে ছিল না সেগুলো এখন দেখা যাচ্ছে। আগে মেয়ের মতো সুন্দর ছিলেন। কিন্তু অসুস্থ হওয়ার পর থেকে এসব দাগ হয়েছে।

নিয়মিত ওষুধ খেলে এমনটা হয় – ২০ বছর ওষুধ খেলে চেহারায় এইরকম পরিবর্তন আসে। তাকালেই বোঝা যায় ওজন বেড়েছে, পেট বড় হয়েছে, শরীর ভারী হয়ে গেছে।

গ্যাসের সমস্যা আছে – আছে মা। কাশি হয় না? মাঝে মাঝে হয়। খাওয়ার দুই-তিন ঘণ্টা পর খাবারটা উপরের দিকে উঠে আসে। আগে যা হজম হতো এখন তা হয় না। ফ্যাটি লিভার হয়েছে, লিভারে চর্বি জমেছে। পিত্তেরও সমস্যা আছে। পাতলা রক্ত বের হয় না, ফুলে যায়।

মাইগ্রেন আছে, মাথাব্যথা হয়। চোখের পাওয়ারও কমে গেছে। আগের মতো ধৈর্য বা শক্তি আছে? আল্লাহর রহমতে ধৈর্য আছে – ছোটবেলা থেকে যেমন ছিল, এখনও তেমনই।

হাজবেন্ডের সাত ভাইবোন মিলে অত্যাচার করেছে, ছেলে-মেয়েরাও কষ্ট দিয়েছে। তারপরও ধৈর্য ধরে আছেন। মেয়ে এত কষ্ট করে মায়ের খোঁজ রাখছে। অসুস্থ হলে হাসপাতালে আনে। বাকিরা দেখে না।

জীবনভর সংসার-সন্তান সামলাতে গিয়ে নিজের দিকে খেয়াল রাখার সময় পাননি। এজন্যই আজকে তিনি রোগী। এখন এই মেয়েটাই তার খোঁজখবর রাখে। মা যদি সুস্থ থাকতেন, মেয়ে হয়তো নিজের সংসার করতে পারতো। কিন্তু মা-ই মেয়ের প্রথম দায়িত্ব। মেয়েটা বলে, ‘আম্মু, আমার সংসার দরকার নেই, আপনার কষ্ট হবে না।’

দুনিয়ায় এরকম মেয়েও আছে। তাই আপনি আর কষ্ট করবেন না। বসে থাকুন। সুস্থ থাকুন।

কে লাইফস্টাইল – ওষুধমুক্ত সুস্থ জীবন।




Sign in to leave a comment